সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বিক্ষোভ সমাবেশে মিছিল নিয়ে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের যোগদান মিল্টন সমাদ্দারের সব অপকর্ম তদন্ত করে বের করা হবে, হারুন শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক রেখে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর তৃতীয় শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, স্বীকারোক্তিতে রোমহর্ষক বর্ণনা ধর্ষকের অয়ন ওসমানের ছবি ব্যবহার করে কুতুবপুরে রায়হানের অপরাধ জগত ফতুল্লায় কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূঁকে মারধর পাগলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির মৃত সদস্যদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল ধৈর্য এর সাথে প্রত্যেকটি ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, লিপি ওসমান ফতুল্লায় মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনায় রায়হান গ্রেফতার সিদ্ধিরগঞ্জে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে আহত মাদরাসাছাত্রের মৃত্যু

ভারতের ১১ জনের সঙ্গে একাই লড়লেন মিরাজ

সংবাদ নারায়ণগঞ্জ:-  ১৮৭ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ১৩৬ রানেই ৯ উইকেট নেই বাংলাদেশের। ব্যাটিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমান আর মেহেদী হাসান মিরাজ। এমন সমীকরণে দাঁড়িয়ে ৩৮ রানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস খেলেন মিরাজ। আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মুস্তাফিজুর।

আর তাতেই রুদ্ধশ্বাস এক জয় পেয়েছে টাইগাররা।

(৪ ডিসেম্বর) ববিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪১ ওভার দুই বলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে ভারত। প্রথম ৫ ওভারে ২৩ রান করে রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ানের উদ্বোধনী জুটি। শুরু থেকে বাংলাদেশের বোলাররা করে আসছিলেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং।

কিন্তু মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত উইকেটের দেখা। অবশেষে ষষ্ঠ ওভারে বাংলাদেশ পেল সাফল্য।

ষষ্ঠ ওভারে বল করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজকে রিভার্স সুইপ করতে যান ধাওয়ান।

পায়ে বল লেগে সেটি পৌঁছে যায় তার বুকে। এরপর আঘাত হানে স্টাম্পে। প্রথম উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। দলীয় ২৩ ও ব্যক্তিগত ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন ধাওয়ান।এরপর ভারতীয় শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান।

সাকিবের প্রথম শিকার ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দলের রান তখন ৪৮। রোহিতের ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ২৭ রান। দলের রান যখন ৪৯ তখন সাকিবের দ্বিতীয় শিকার কোহলি। ১৫ বলে ৯ রান করেন ভারতের এই রান মেশিন।৪৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে জুটি গড়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার আর লোকেশ রাহুল। তাদের ৫৬ বলে ৪৩ রানের জুটিটি অবশেষে ভাঙেন এবাদত হোসেন। এবাদতের শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন আইয়ার। তিনি ফেরেন ২৪ রানে।

সাকিবের তিন নম্বর উইকেট ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই তিনি আউট করেন বাউন্ডারি নিয়ে ভুগতে থাকা এই ব্যাটারকে। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকা এবাদত হোসেনের হাতে ক্যাচ দেন কোনো বাউন্ডারি না হাঁকিয়ে ৪৩ বলে ১৯ রান করা সুন্দর।

এরপর আবারও এক ওভারে দুই উইকেট পান সাকিব। ৩৫তম ওভারে এসে শুরুতে শার্দুল ঠাকুরকে বোল্ড করেন তিনি। এরপর দ্বীপক চাহারকে ফেলেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফাইফার পূর্ণ হয় সাকিবের।

অন্যদিকে একপ্রান্ত আগলে লম্বা সময় ক্রিজে ছিলেন লোকেশ রাহুল। নবম ব্যাটার হিসেবে এবাদত হোসেনের বলে আউট হন তিনি। ৫ চার ও ৪ ছক্কায় দলের পক্ষে ৭০ বলে সর্বোচ্চ ৭৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভারে ২ মেডেনসহ ৩৬ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন সাকিব। ৮ ওভার দুই বল হাত ঘুরিয়ে ৪৭ রান দিয়ে চার উইকেট পেয়েছেন এবাদতও। বাকি উইকেটটি মেহেদী হাসান মিরাজের।

জবাবে বাংলাদেশের শুরুটাও ততটা ভালো হয়নি। ইনিংসের প্রথম বলেই শূন্য রানে ফেরত যান নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বীপক চাহারের অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের বলে স্লিপে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান উদ্বোধনী ব্যাটার নাজমুল। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মিডউইকেটে ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিজয় ফেরেন মোহাম্মদ সিরাজের বলে। ২৯ বলে ১৪ রান করেন তিনি।

এরপর সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের ৪৮ রানের জুটি এগিয়ে যাচ্ছিল ধীরে ধীরে। কিন্তু হুট করেই সাদামাটা আউট হয়ে যান লিটন। সুন্দরের টার্ন করা বল গ্লাভসে লাগে তার। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান লিটন। কিছুক্ষণ পর ২৯ রানে আউট হয়ে গেছেন সাকিবও। সুন্দরের বল কাভারের উপর দিয়ে তুলে মারতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক্সট্রা কাভারে দাঁড়িয়ে এক হাতে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরেন কোহলি।

দুই ব্যাটারকে হারানোর পর আশার আলো হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। এই দুই ব্যাটার ধীরস্থির খেলছিলেন, তাতেও কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু উইকেটে টিকতে পারেননি তারা। প্রথমে শার্দুল ঠাকুরের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৫ বল খেলেও কোনো বাউন্ডারি না হাঁকিয়ে কেবল ১৪ রান করেন তিনি। এরপর ৪৫ বলে ১৮ রান করা মুশফিক ফেরেন মোহাম্মদ সিরাজের বলে ইনসাইড এজে বোল্ড হয়ে।

এরপর বিপদটা আরও বাড়ে কুলদীপ সেনের বলে আফিফের বিদায়ে। সেই ওভারেই আরও এক উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দেন কুলদীপ। দিশেহারা টাইগাররা পরের ওভারে হারায় হাসান মাহমুদকে। সেখান থেকেই শুরু মিরাজের বীরত্ব। ৪১তম ওভারে পরপর দুই বলে দুই ছক্কা মেরে মোমেন্টামটা শুরুতে দলের দিকে নিয়ে আসেন তিনি।

এর পরের ওভারগুলোতেও মিরাজ খেলেছেন আগ্রাসীভাবেই। শেষের দিকে মিরাজকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন মুস্তাফিজ। রান না করতে পারলেও উইকেট বিলিয়ে দেননি সহজে। দুজনের ৫১ রানের জুটিতে ৪ ওভার হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ ১১ বলে ১০ রান এবং মেহেদি ৩৯ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন...


© 2022 Sangbadnarayanganj.com - All rights reserved
Design & Developed by POPULAR HOST BD